By admin 18/07/2023 0 Comments

.

যে কুরআন পড়ে গভীর নিমগ্নে নির্লিপ্তে, সে খুঁজে পায় তাতে জ্ঞানের ভান্ডার, মারেফতের খনি। যা তার ঈমানকে করে শ্যামল ও সজীব; সতেজ ও প্রাণবন্ত। কেননা, সে কুরআনের ভাষ্যে প্রভুর পরিচয় পায়। সন্ধান পায় মহারাজাধিরাজের—যিনি অজেয় সার্বভৌমত্বের অধিকারী। যিনি একমাত্র প্রশংসার যোগ্য। তিনিই বিপদে নিপতিত করেন, সংকট সৃষ্টি করেন; আবার তিনিই একমাত্র আশ্রয়স্থল। তিনি আরশের মালিক।

রাজ্যের কোনো কিছুই তাঁর থেকে গোপন নয়। প্রতিটি প্রজার অন্তরের ভেদ তাঁর জানা। বিশাল এ রাজ্যের একমাত্র পরিচালক। সব দেখেন, সব শোনেন। কাউকে চাইলে দেন, কিংবা রাখেন বঞ্চিত। তিনিই পুরস্কার দেন, কিংবা দেন শাস্তি। সম্মানিত করেন, কিংবা করেন অপদস্থ। সৃষ্টি করেন, সুষমিত করেন, মৃত্যু দেন, পুনরুজ্জীবিত করেন। অদৃশ্যের কলকাঠি নাড়েন—ফয়সালা করেন, পরিচালনা করেন।

বান্দাদের আহ্বান করেন—সৌভাগ্য ও সফলতার পথ দেখান। ধ্বংস থেকে উদ্ধার করেন, কল্যাণের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেন। নিজ নাম ও গুণে নিজের পরিচয় তুলে ধরেন। বান্দাকে অনুগ্রহ দিয়ে কৃতার্থ করেন। আপন ভালোবাসার সুতোয় বাঁধেন। নেয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। আরও অধিক প্রাপ্তির উপায় বাতলে দেন। আবার আপন শাস্তির কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। স্মরণ করিয়ে দেন—তাঁর আনুগত্যে আছে মহাপ্রতিদান; তাঁর অবাধ্যতায় আছে বিরাট শাস্তি। ইতিহাস তুলে ধরেন—আনুগত্য করে যারা সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে; অবাধ্যতার মাধ্যমে যারা ধ্বংস হয়েছে—কেমন ছিল এদের আর ওদের পরিণতি!

‘ঈমান পরিচর্যা’ বই থেকে চয়িত।

Leave a Comment

Your email address will not be published.